https://youtu.be/Pv1o5allaZA
অক্টোবরের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত কাঞ্চনজঙ্ঘার রূপের ছটা দেখা যায় বহু ক্রোশ দূর থেকেও।
বছরের এই সময়টা তাই পর্যটকের জন্য কাঞ্চনজঙ্ঘা উৎসব হয়ে ওঠে।
বাংলাদেশের একেবারে উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় পর্যটকের আগমনে মুখরিত হবে খুব শিগগিরই।
স্থানীয় হোটেল, মোটেল এবং রিসোর্টের আঙ্গিনা প্রস্তুত হচ্ছে পর্যটকদের আকর্ষণ করতে।
দেশের যে কোনো প্রান্ত থেকে গাড়ি অথবা ট্রেনে করে নেমে পড়া যাবে পঞ্চগড়ে। তারপর বাস অথবা ব্যক্তিগত বাহনে চড়ে যাওয়া যাবে সবুজ শহর তেঁতুলিয়ায়।
পথে দেখা যাবে দুপাশে গড়ে উঠা সমতল চা বাগান ও সীমান্ত নদী।
তবে নেপালের সীমান্ত থেকে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম পর্বতশৃঙ্গ কাঞ্চনজঙ্ঘার জাদু সবকিছু ছাপিয়ে যাবে।
হেমন্তের সকালে কাঞ্চনজঙ্ঘার চূড়ায় সোনালি রোদ ঠিকরে ওঠে। এই স্বর্ণালোক দৃশ্য দেখা যায় তেঁতুলিয়া থেকে।
বছরের এই সময়ে শীতের তীব্রতা কম থাকে এবং আকাশ থাকে পরিষ্কার। এমন পরিষ্কার আকাশে দেখা মেলে কাঙ্ক্ষিত কাঞ্চনজঙ্ঘার।
পরিবেশকর্মী সরকার হায়দার বলেন, ”কাঞ্চনজঙ্ঘা আমাদের সমৃদ্ধ করেছে। তবে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের পর্যটনকে ক্ষতির মুখে ফেলছে।
”গ্লোবাল ম্যাজিকের কারণে বছরের অক্টোবর ও নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই শুধু কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায়। বছরের বাকি সময়ে বায়ুমণ্ডলে ধূলিকণা ও কার্বনের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখা যায় না।”